সেদিন শান্তির মিছিল হওয়ার কথা ছিল, তাতে অংশ নিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা; কিন্তু একের পর এক গ্রেনেড হামলায় এক লহমায় বদলে যায় আবহ; রক্তে ভেসে যাওয়া স্থানটি রূপ নেয় মৃত্যুপুরীতে। সেই বিভীষিকা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ।
আঠারো বছর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ, এর মূল লক্ষ্য ছিলেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে রষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করাই যে ছিল সেই হামলার উদ্দেশ্য, যা পরে উঠে আসে আদালতের রায়ে; যাতে সেই সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর-এমপির সঙ্গে দণ্ডিত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেদিন মানববর্ম তৈরি করে রক্ষা করেছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা; এজন্য কাউকে কাউকে নিজের প্রাণও বিসর্জন দিতে হয়েছিল। ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন সেই হামলায়, আহত হন অগুনতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই ক্ষত এখনও বইছেন। গ্রেনেড-বোমার স্প্লিন্টার দেহে নিয়ে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন আরও অনেকে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ভয়াবহতম সেই হামলার উনবিংশতিতম বার্ষিকী সোমবার নানা কর্মসূচিতে পালিত হবে, স্মরণ করা হবে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টে চালানো সেই হামলায় নিহতদের।