সময় কম লাগলেও অনেকের কাছেই বিমানযাত্রা, ট্রেনের মতো আরামদায়ক নয়। চাইলেই ট্রেনের মতো স্টেশনে নেমে হাঁটাচলা করা যায় না। ফেরিওয়ালারা উঠতে পারেন না। মেঘের চাদরে ঢাকা আকাশপথের একঘেয়েমিও থাকে। দীর্ঘ যাত্রাপথে ক্লান্তি বা অবসাদ কাটাতে অনেকেই চান আসনে হেলান দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিতে। কিন্তু পারেন না। মাটি থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে ওঠার পর শরীরে অস্বস্তি হওয়া স্বাভাবিক। তাই ঘুমোতে চাইলেও পারেন না অনেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, বিমানে বসার জায়গা ট্রেনের মতো নয়। এক ভাবে বসে থাকতে হয়। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই বিমানের আসনে বসে ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব।
১) বিমানে ওঠার আগে মদ খাবেন না
বিমানে চেপে কোথাও যাওয়ার আগে এমন কোনও পানীয় খাওয়া যাবে না, যার মধ্যে অ্যালকোহল আছে। তা যত কম পরিমাণেই থাকুক না কেন। তার বদলে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞরা।
২) বিমানে ওঠার আগে কিছু ক্ষণ হেঁটে নিন
বিমানবন্দরে একাধিক দোকান থাকে। সেখান থেকে যে কিছু কিনতেই হবে এমনটা নয়। কিছু না কিনলেও ঘণ্টাখানেক সেখানে ঘুরে নিতে পারেন। হাঁটাহাটি করলে সহজেই দু’চোখে ঘুম নেমে আসতে পারে।
৩) বসার ভঙ্গি ঠিক করে নিন
ঠিক কোন ভঙ্গিতে, কী ভাবে হেলান দিয়ে বসলে সহজে ঘুম আসে, তা নিজেকে বুঝে নিতে হবে। অভিজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হল আসন নির্বাচন। বিমানে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে হলে শৌচাগারের আশপাশে আসন না নেওয়াই ভাল। প্রয়োজনে সঙ্গে স্লিপিং পিলো, আইমাস্ক সঙ্গে রাখা যেতে পারে।