ঘরে এলোমেলো দেখলে কার ভালো লাগে? ঘরের সাজ হতে এমন, যা দেখলেই মন ভাল হয়ে যাবে। এক নিমেষে সরে যাবে মনখারাপের মেঘ। সম্প্রতি ঘর সাজানোর এক নতুন ‘ট্রেন্ড’ চালু হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডোপামিন ডেকর’। কোনও কারণে খুব আনন্দ হলে কিংবা কোনও বিষয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লে, আবেগে ভেসে গেলে ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ হয়। এই হরমোনের ক্ষরণ হতে পারে নিজে বাড়ির সাজ দেখেও। মনের যত্ন নিতে কেমন করে ঘর সাজাবেন তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে।
রঙিন হোক ঘরের প্রতিটি কোণ: ঘরের আনাচ-কানাচে রঙের ছোঁয়া থাকলে মন ভালো লাগবে। দেওয়ালে টাঙাতে পারেন রঙিন ছবি, রংচঙে পোস্টার, ক্যানভাস। টেবিলে রাখা ফুলদানিতে থাক বাহারি নানা রঙিন ফুল। সোফায় রাখতে পারেন রঙিন কুশন। বাড়িতে যদি থাকে নানা রঙ মন খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
সাজ হোক বাঁধনহীন: খাটের পাশে টেবিল, পড়ার টেবিলে ল্যাম্প, বসার ঘরে সোফা- ঘর সাজানোর এমন কিছু চল প্রচলিত আছে। তবে ‘ডোপামিন ডেকর’এই নিয়মের বাঁধন মানে না। ইচ্ছেমতো ঘর সাজালেই হবে। যেখানে যা থাকার কথা, তা না রাখলেও চলবে। ছক ভাঙার আলাদা মজা রয়েছে।
ঘরের সাজে থাক পুরনো স্মৃতি : ছোটবেলায় আঁকা ছবি, শৈশবের ছবি, মোজা, রং পেনসিল অনেকেই যত্ন করে তুলে রাখেন। সেগুলি বাক্সবন্দি করে না রেখে সামনে রাখুন। শৈশবের স্মৃতি মাখানো সেই জিনিসগুলি দিয়ে নিজের ঘরটি সাজাতে পারেন। বড় হয়েও বার বার ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারলে ভালো থাকবে মন।
আলোয় ভরুক ঘর: আলো দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর। ঘর সাজানোর অনেক ধরনের আলো পাওয়া যায় অনলাইনে। পছন্দ করে বাছাই করে নিতে পারেন। আলো মনের খেয়াল রাখে। রংবেরঙের নানা আলোয় যদি ঘর ভরে থাকে, তা হলে মনও ভালো লাগবে।