সাম্প্রতিক এই সব ঘটনার পর আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চলছে শাড়িবন্দনা। কেন? কেননা, লন্ডনের দ্য ডিজাইন মিউজিয়ামে চলছে একটা প্রদর্শনী। সেখানে শাড়ির বিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে যশোরের মেয়ে, ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদানন্দিনীর শাড়ি পরা ছবি থেকে শুরু করে দীপিকা পাড়ুকোনের শাড়িতে কান লুক—সবই আছে। প্রদর্শনীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অফবিট শাড়ি’। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানে কীভাবে শাড়ি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে বেঁধে রাখছে এক সুতোয়, কীভাবে সম্পর্ক স্থানান্তরিত হচ্ছে শাড়ির সূত্রে, শাড়ি কীভাবে হয়ে উঠল নারীর ক্ষমতায়ন আর প্রতিবাদের প্রতীক—উঠে এসেছে এই সব বিষয়। এখন ‘হাউ টু’ দিয়ে খোঁজা হয় শাড়ি পরার কায়দাকানুন। আবার সময়-শ্রম বাঁচাতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ‘রেডি টু ওয়্যার’ শাড়িও, সেটিও বাদ যায়নি আলোচনায়।
দ্য ডিজাইন মিউজিয়ামে শাড়ির বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বলা হয়, ভারতে যা কিছু গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি হয়, তার ভেতর প্রথম দিকেই রয়েছে শাড়ি। শাড়ির বিশেষত্ব এর সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতায়। সব শ্রেণি-পেশার নারী শাড়ি পরেন। আবার মনে করুন, অনেক বয়স্ক একজন দাদির শাড়িও আগ্রহ করে পরতে পারেন তাঁর নাতনি। আবার একজন হ্যাংলা পাতলা নারীর শাড়ি ধার নিয়ে দিব্যি পরতে পাড়েন তাঁর প্লাস সাইজড বেস্ট ফ্রেন্ড।
এই শাড়ি পরে একজন নারী যেমন রাস্তা ঝাড়ু দিতে পারেন, তেমনি আবার কোনো পার্টিতেও স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে পারেন—সবখানেই শাড়ির রয়েছে নিজস্ব গ্রহণযোগ্যতা। ৩০০ টাকায়ও শাড়ি পাওয়া যায়, আবার ১ লাখ ডলার বা ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে শাড়ি। সবচেয়ে দামি শাড়িটির ওজন ১৮ পাউন্ড বা প্রায় আট কেজি। কোনো মেশিনের স্পর্শ ছাড়াই ৪ হাজার ৬৭০ ঘণ্টা ধরে হাতে কাজ করে এটি বানানো হয়েছে। শাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মহামূল্যবান সব পাথর।