ঢাকায় সোমবার রাতে যে ভূমিকম্প হয়েছে, রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল সাড়ে ৫। দেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এই মাত্রা ২০ বছরে সর্বোচ্চ।
ভূমিকম্পটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকটা সময় ধরে কম্পনে নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের ভূমিকম্পটি হয়েছে বাংলাদেশের ভূগর্ভের ডাউকি চ্যুতি নামে পরিচিত চ্যুতিরেখা বা ফাটল বরাবর। গত কয়েক বছরে এই চ্যুতিরেখায় বেশ কিছু ভূমিকম্প হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা জাগাচ্ছে।
দেশে সোমবার রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, এর উৎস ছিল ঢাকা থেকে ২২৮ কিলোমিটার দূরে সিলেটের কানাইঘাট ও ভারতের আসাম সীমান্তের কাছে। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির কম্পন রাজধানীসহ সারা দেশে ভালোই অনুভূত হয়েছে।
ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা উম্মে সালমা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি যে ভবনে বাস করেন, সেটিতে মিনিটখানেকের বেশি সময় কম্পন হয়েছে বলে তাঁর মনে হয়েছে। এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে সন্তানসহ ভবন থেকে নেমে যান। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পে বিল্ডিং এতটা কাঁপতে কখনো দেখিনি।’