অবকাঠামোর বড় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের সনদ পাওয়ার জন্যে ‘ব্লু ডট নেটওয়ার্কে’ বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। অবকাঠামো সংক্রান্ত বড় বড় কাজে দুর্নীতিরোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত তারা এই নেটওয়ার্কে যোগদানের কথা বলে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা রিচার্ড নেফিউ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
বাইডেন প্রশাসন বৈশ্বিক নীতির আলোকে বাংলাদেশে এতদিন সাধারণত গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শ্রমমান, মানবপাচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সন্ত্রাস দমন, শান্তিরক্ষায় সহায়তা, সামরিক সহায়তা প্রভৃতি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে এতটা সোচ্চার ছিল না। তবে এবার এ ইস্যুতেও তারা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এর অংশ হিসাবে তারা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী কোনো প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছে। যদিও দুর্নীতি দমনও তাদের বৈশ্বিক নীতিরই অংশ। পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ইস্যুতে তারা কাজ করেছে।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৯১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। এ ছাড়াও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সংক্রান্ত ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সব সময়ই খারাপের দিকে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রিচার্ড নেফিউর এই সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন এবং বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে সমস্যা এবং এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করতে পারে এসব বিষয় বিভিন্ন বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে।