চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন ডিসি রোডের কালাম কলোনিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন মো. মোমিন (৪৫)। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চার দিন ধরে পরিবার নিয়ে পানিবন্দি তিনি। তার বাসায় জ্বলছে না রান্নার চুলাও। মোমিনের পরিবারের মতো নগরীতে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব পরিবারে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
মোমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাসায় পানি ঢুকেছে। দিন দিন পানি বেড়েই চলেছে। এখনও হাঁটু সমান পানি রয়েছে। তবে সড়কের চেয়ে আমার বাসাটি উঁচু হওয়ায় পানি কিছুটা কম উঠেছে। সড়কে এখনও কোমর সমান পানি। পানিতে ডুবে আছে রান্নাঘর। যে কারণে চার দিন ধরে আমার বাসায় রান্না হচ্ছে না। পানিতে বাসার অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।’
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতিও। ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে নগরীর রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা।
নগরীর চক সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে চকবাজার এলাকার চক সুপার মার্কেট। এ মার্কেটে পানি ঢুকেছে। মার্কেটের নিচতলায় ৫৫টি দোকান আছে। তার মধ্যে ৩৫-৪০টিতে পানি ঢুকেছে। এতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।’
পানিতে ডুবেছে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থিত স্বজন সুপার মার্কেটের নিচতলা। নিচতলায় থাকা শতাধিক দোকানেই পানি ঢুকেছে বলে দাবি এ মার্কেটের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘পানিতে এবার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ৪০ লাখের বেশি টাকার পণ্যের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত চার দিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে এ মার্কেট খোলা যায়নি।’