২০২৩ সালের মে মাসের শুরুতেই বোঝা যাচ্ছিল রাজনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন দেশের শাসকপক্ষ তার দলের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
ইমরান খানের সেই আশঙ্কা সত্য পরিণত হলো। তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত শাস্তি ঘোষণার পরপরই গ্রেফতার করা হলো তাকে। ০৫ আগস্ট ২০২৩, ইসলামাবাদের একটি আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরানকে তিন বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। পাকিস্তানের আইন বলছে, আদালতের এই রায়ের ফলে আগামী পাঁচ বছর ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার এবং এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবনের এখানেই সমাপ্তি ঘটল?
মুসলিম লীগ নেতা মুসলিম নওয়াজ শরীফ এবং বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের আমলে পাকিস্তান স্মরণকালের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। ফলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন ইমরান। কিন্তু ভোটের আগে এই রায় মাঠে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়কের জীবন অনিশ্চিত করে তুলেছে। আপাতত তাকে জেলের ভাতই খেতে হচ্ছে।