দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এই সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের দৌড়ঝাঁপ দেখে মনে হচ্ছে, এই একুশ শতকে এসে বিশ্ব এক নতুন উপনিবেশের জন্ম দেখতে পাচ্ছে, যার নাম বাংলাদেশ। দেশটিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। যে দেশটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মের তীব্র বিরোধিতা করেছিল, যারা আমাদের প্রতিপক্ষকে সব ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, যে দেশটিকে জন্মের মুহূর্তে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল, সেই একই দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মওকা বুঝে তাদের সেই পুরনো আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ পেয়ে গেছে।
সঙ্গে পেয়েছে তাদের কিছু তাঁবেদার ইউরোপীয় রাষ্ট্রের সার্বিক সহায়তা। আরো সঙ্গে আছে তাদের অর্থে পোষা এ দেশীয় কিছু মতলববাজ সুধী ও প্রতিষ্ঠান, যারা নিরপেক্ষতার আড়ালে এসব পরাশক্তির স্বার্থ রক্ষা করার জন্য তাদের নিজেদের সব কর্মকাণ্ড ও জীবন উৎসর্গ করেছে। এরা সমাজের বা নাগরিক সমাজের পণ্ডিত সদস্য বা বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। সঙ্গে আছে বেশ কিছু মিডিয়া ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।