আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত তরুণ ‘ওষুধ কিনতে বেরিয়ে’ মারামারি মধ্যে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিহত রেজাউল করিম (২১) একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। শুক্রবার গোলাপশাহ মাজারের কাছে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের মারামারির মধ্যে তিনিসহ পাঁচজন ছুরিকাহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার এসআই আব্দুল মন্নাফ জানান, শুরুতে নিহত তরুণের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার হাতের ছাপ মিলিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য থেকে জানা যায় তার নাম রেজাউল করিম। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নকোটা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
রেজাউলের চাচা আজহারুল ইসলাম শনিবার বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রেজাউল বড়। শেরপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে হাফেজি পাস করে দুই বছর ধরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছিলেন তিনি।
“গত ঈদের আগে ওর ডেঙ্গু জ্বর হয়। সে বাড়ি চলে যায়। পরে জন্ডিসেও আক্রান্ত হয়। বেশ কিছুদিন বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পর গত সপ্তাহে ঢাকায় আসে রেজাউল।
“নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছিল ওর। শুক্রবার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়েছিল বলে সহপাঠীরা আমাকে জানিয়েছে। এরপরই পুলিশ ফোন করে তার মৃত্যুর খবর জানায়।”