তাড়াহুড়োয় কিংবা অসাবধানতাবশত রাস্তাঘাটে এমনকি বাড়িতে থাকলেও কেটে, ছড়ে যায়। আঘাত তত তীব্র না হলেও জ্বালা-যন্ত্রণা থাকেই। বাড়িতে শিশুরা থাকলে তো এ ধরনের আঘাতের ভয় বেশি থাকে। হঠাৎ করে কোথাও আঘাত পেয়ে কেটে গিয়ে রক্তপাত হলে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু সব সময় হাতের কাছে মলম বা ওষুধ নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু সমাধান অনুসরণ করলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
হলুদ: দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে ওষুধের মতো কাজ করে হলুদ। সেই সঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। এতে থাকা ইনফ্লেমেটরি উপাদান, প্রদাহনাশক হিসাবে কাজে করে। রক্তক্ষরণও বন্ধ করে হলুদ। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে লাগালে ব্যথাও কমে যায়।
নারকেল তেল: রূপচর্চা ছাড়াও নারকেল তেল ছোটখাটো ক্ষত সারাতে দারুণ কাজ করে। ফল-সবজি কাটতে কাটতে হঠাৎ কেটে গেলে কিংবা মাছ ভাজতে গিয়ে পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে তুলোয় করে নারকেল তেল লাগান। এতে দ্রুত ব্যথা কমে যাবে। নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
নিমতেল: নিমপাতায় থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে তোলে, রক্তপাত বন্ধ করে। নিমপাতা বেটে কোনও ক্ষতের উপর দিলে কম সময়ের মধ্যেই সেরে যায়। নিমপাতা যে কোনও রকম সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তাই দ্রুত সেরে উঠতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন নিমপাতা বা নিমতেলের উপর।
টি ট্রি অয়েল: এই তেলে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান কাটা-ছড়া এবং অন্য যে কোনও ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে লড়াই করে। এটি ব্যবহারে ব্যথা-যন্ত্রণা কমে। ক্ষত খুব গভীর হলেও টি ট্রির ব্যবহারে তা সেরে যায়।