বন্ধের দিনের গণতন্ত্র এখন খোলার দিনে

দেশ রূপান্তর মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৬:৩১

রাজনৈতিক বড় দুই শক্তির তোড়ে গণতন্ত্র, জনগণ, আন্দোলন ধরনের শব্দগুলো এখন একেবারেই আপেক্ষিক। তারা যে যা করেন সেটাই গণতন্ত্র। আবার এক দলের কাছে যেটি গণতন্ত্র, অন্যের কাছে সেটি স্বৈরতন্ত্র। একপক্ষের কাছে যা আন্দোলন, অন্যপক্ষের কাছে সেটি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য। নিজস্ব সুবিধা মতো শব্দার্থ ও উদাহরণ বের করে নিতে পারছেন তারা। এক্ষেত্রে ব্যাকরণ-অভিধানও অসহায়। তাদের কাছে ‘জনগণ’ শব্দের অর্থও পাল্টে গেছে। জনগণ বলতে তারা নিজ দলের কর্মী-সমর্থকদের বোঝেন। কথিত এই জনগণকেও তারা এই বুঝে অভ্যস্ত করে নিয়েছেন। দল যা বলে তাই সমর্থন করে এই জনগণেরা।



গণতন্ত্র, গণদাবি, জনগণ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে সব এস্তেমালের সুযোগ কেবল রাজনীতিতেই খাটে। সেইসঙ্গে সংবিধানের অজুহাত। ক্ষমতার রাজনীতিতে তা বেশি লাগসই-টেকসই। জনভোগান্তি যেন না হয়, সংবিধানের এ ধারা রক্ষায় কদিন আগেও বিরোধী দলের কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি। এক পর্যায়ে ছুটির দিনে কর্মসূচির অনুমতি দিয়ে সংবিধান রক্ষা করা হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিগুলো হয়েছে শুক্র-শনিবার। বন্ধের দিনের গণতন্ত্র এখন খোলার দিনেও চলে এসেছে। তাও আবার পাল্টাপাল্টি। বিরোধী দল সভা-সমাবেশ ডাকলে সেদিন সরকারি দলও ডাকছে। এটিও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য-চমৎকারিত্ব। পুলিশের দিক থেকে অনুমতিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। জনদুর্ভোগের প্রশ্নও অবান্তর। লক্ষণীয় হচ্ছে, এ ব্যাপারে দুদলের মধ্যে বেশ মিলমিশ। রবিবার রাতে একটি টেলিভিশন টক শোতে কথা হচ্ছিল এ নিয়ে। জনদুর্ভোগ স্বীকার করে বিএনপি দলীয় আলোচক সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলছিলেন, সৃষ্টির কিছু বেদনা থাকেই। তার কাছে সৃষ্টি মানে সরকারের পতন ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা। আর আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের যুক্তি- তারা এত এত উন্নয়ন করেছেন তা জানান দিতে সমাবেশ করা লাগছে। আর সমাবেশে উপচেপড়া মানুষ রাস্তায় চলে আসায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তা সহনীয়-বরণীয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us