প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১০:২৮

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে এবার আরও এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। অর্থাৎ শুধু অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নয়, এখন দেশে ১১-৪৫ বছর বয়সির মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত ১৩ বছরে এই হার বেড়েছে ১৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে বর্তমানে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ১০ এবং নারীদের ৭৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাক্ষরতার ক্ষেত্রে ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণ জরিপ ২০২৩-এর ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে। আজ সোমবার বিবিএসে প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।


বিবিএস’র মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান রোববার যুগান্তরকে বলেন, শুধু সাক্ষরতা নিরূপণের ক্ষেত্রে যারা লিখতে ও পড়তে পারতেন তাদের সাক্ষর হিসাবে গণ্য করা হতো। কিন্তু প্রায়োগিক সাক্ষরতায়-লেখা ও পড়তে পারার পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় যোগ হয়। যেমন সাধারণ জ্ঞান বা নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেখে বলতে পারবে জাতীয় ও বিশ্বকবি ইত্যাদি। এ ছাড়া কিছু অঙ্ক কষতে জানতে হবে। যেমন-যোগ ও বিয়োগ করা শিখলে সব মিলিয়ে তাদের প্রায়োগিক সাক্ষর মানুষ বলা যায়। এক কথায় বলতে গেলে, যে সাক্ষরতা বাস্তব জীবনের প্রয়োগ করা যায় সেটাই প্রায়োগিক সাক্ষরতা। বিবিএস সূত্র জানায়, প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণে এ জরিপটি ব্যতিক্রম। কারণ এর মাধ্যমে সাক্ষরতার হার যাচাইয়ে নির্বাচিত প্রত্যেক ব্যক্তির ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেলে প্রায়োগিক সাক্ষর বলে ধরা হয়। ৭-১৫ বছর এবং ১৫ থেকে তদূর্ধ্ব-এ দুটি বয়সের ক্যাটাগরিতে আলাদা প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে জরিপ করা হয়েছে। জপির পরিচালনা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে গত জুন মাস পর্যন্ত। দেশের ৬৫ জেলার চার হাজার ৯৬টি প্রাইমারি স্যাম্পল এরিয়া বা পিএসইউ থেকে ৮১ হাজার ৯২০টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি পিএসইউতে ২০টি করে খানা বা পরিবার ধরা হয়েছে। এ কাজে গণনাকারী ছিলেন এক হাজার ২৪ জন। এর আগে ২০০৮ এবং ২০১১ সালে দুটি জরিপ করা হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us