শেষ পর্যন্ত অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলায় বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর দুদক বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎসংক্রান্ত ৫৯টি মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে ৫৮টিতে আসামি করা হয় শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে। রাষ্ট্রীয় মালিকানার বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির মূল হোতা হিসাবে বারবার শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম এলেও এতদিন তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বাচ্চু ছাড়াও মালয়েশিয়ায় পলাতক ব্যাংকটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে দুদক। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ৪৬ কর্মকর্তা ও ১০১ গ্রাহককে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাচ্চুকে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাচ্চু চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই এ ব্যাংকে লুটপাট শুরু হয়। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এ ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। দুদক ২০১৫ সালে ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করলেও বাচ্চুকে কোনো মামলাতেই অভিযুক্ত করেনি। সরকারের উপর মহলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কারণে বাচ্চুকে আসামি করার বিষয়টি এতদিন ঝুলে ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। যদিও দুদক বরাবরই বলে গেছে, তদন্তে এ অর্থ কেলেঙ্কারিতে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে তাকে আসামি করা যাচ্ছিল না।