যেহেতু উন্নত দেশগুলোর শিল্পনীতির আধিপত্যের কাছে নব্য উদারনৈতিকতাবাদ নতজানু হচ্ছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর স্বার্থ তাই উপেক্ষিত হচ্ছে। নব্য উদারনৈতিকতাবাদ স্বর্ণযুগে যেমন হতো, সে রকম বুদ্ধিবৃত্তিক সাম্রাজ্যবাদের একটি সূক্ষ্ম ধরন আবার বিশ্বের অর্থনৈতিক নীতিসংক্রান্ত বিতর্কে শক্তিশালী দেশগুলোর স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
যদি উন্নয়নশীল দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিকে যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়, তবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমানোর আইনের মতো নব্য উদারনৈতিকতাবাদ এবং শিল্পনীতি সম্পর্কিত বিতর্কের ভিন্ন রূপ প্রকাশ পাবে। কেননা ১৯৮০-এর দশকের নব্য উদারনৈতিক ওয়াশিংটন সমঝোতা (Washington Consensus) অন্তত বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর জন্য দৃশ্যগ্রাহ্য সুবিধা বয়ে এনেছিল। নব্য উদারনৈতিক যুগ থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করলে তা আমাদের জন্য উপকার করতে পারে।
মুক্তবাজার ও বিশ্বায়ন নিয়ে নব্য উদারনৈতিকতাবাদীদের নীতিগত নিরাপস অবস্থানকে অনেক বৈশ্বিক সমস্যার জন্য দায়ী করা হয়। যেমন ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ, শিল্পোৎপাদনের হ্রাস, পুনঃপুন আর্থিক সংকট, এমনকি পরিচয়ের রাজনীতির উত্থানের জন্য তাদের দায়ী করা হয়। নব্য উদারনৈতিকতাবাদের নেতিবাচক দিকগুলো গুরুতর বিতর্কের দাবি রাখলেও এর কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে, বিশেষত বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে। দেব প্যাটেল, জাস্টিন স্যান্ডেফুর ও আমি মনে করি, অতি-বিশ্বায়নের ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে গত ২০০ বছরে বিদ্যমান ভারসাম্যহীন বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় ভারসাম্য নিয়ে এসেছে এবং এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করেছে, যা দারিদ্র্য হ্রাসকে ত্বরান্বিত করেছে।