কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ ইবাদতটি শুধু উম্মতে মুহাম্মদির মধ্যে নয়, বরং পূর্ববর্তী সব উম্মতের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। কোরবানি শব্দটি ‘কোরবুন’ মূল ধাতু থেকে এসেছে। অর্থ হলো– নৈকট্য লাভ, সান্নিধ্য অর্জন, প্রিয় বস্তুকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য উৎসর্গ করা। শরিয়তের পরিভাষায়, নির্দিষ্ট জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহপাকের নামে জবেহ করাই হলো কোরবানি।
সুরা আল-মায়েদায় হজরত আদম (আ.)-এর দুই সন্তানের দেওয়া কোরবানির কথা বিবৃত হয়েছে। সে কোরবানির প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর একটি বর্ণনায়। মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে ছিল– হাবিল আর কাবিল। হজরত হাওয়া (আ.) প্রতিবার এক জোড়া সন্তান প্রসব করতেন। একটি ছেলে অন্যটি মেয়ে। এ যমজ ভাইবোনদের বিয়ে ছিল হারাম।