কয়লার পর এবার ফার্নেস তেলের সংকটে পড়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র। বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় তেল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এই তেল দিয়ে দেশের ২৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে।
জ্বালানি তেল আমদানির একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র বলছে, বিপিসির কাছে বর্তমানে ফার্নেস তেলের মজুত এক সপ্তাহের। তবে ফার্নেস তেলের নতুন দুটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। মাসের শেষ দিকে ওই জাহাজের তেল পাওয়া যাবে। এই পরিস্থিতিতে ফার্নেস তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমবে। এতে বাড়তে পারে লোডশেডিং।
প্রতিদিন গড়ে চার হাজার টন ফার্নেস তেলের চাহিদা আছে বিপিসির কাছে। এর মধ্যে দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ টন করে ফার্নেস তেল পাওয়া যায়। আর বাকিটা আমদানি করতে হয়।
বিপিসি সূত্র বলছে, গতকাল ১৪ জুন পর্যন্ত বিপিসির কাছে ফার্নেস তেলের মজুত ছিল ১৮ হাজার টন। দৈনিক চাহিদার হিসাবে মজুত আছে ৬ দিনের। সাধারণত এক মাসের মজুত রাখে বিপিসি।