তেল খালাসে নতুন যুগে বাংলাদেশ, জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনে

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১৪:০০

জ্বালানি তেল খালাসে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। বহু প্রতীক্ষার পর গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে এই কার্যক্রম শুরু হয় বলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান জানান।


আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সকাল সোয়া ১০টায় মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা ‘মাদার ভেসেল এমভি হোর’ থেকে পাইপলাইনে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস শুরু হয়েছে। এই জাহাজে ৮২ হাজার টন তেল আছে। প্রথম জাহাজটি খালাস হতে সময় লাগবে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা।


সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রিক টন ক্রড অয়েল আসে। সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় এসপিএম লাইনে তেল খালাস প্রকল্পের কমিশনিং শুরু করা যায়নি। গতকাল রোববার খালাসের অপেক্ষায় থাকা জাহাজটি মাতাবাড়ী এসপিএম প্রকল্পের হোস পাইপে নোঙর করে। সব চেক করে আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় পাইপ লাইনে তেল খালাস শুরু হয়। এরপরের দফায় পরিশোধিত তেলের জাহাজ আসলে দ্বিতীয় পাইপলাইনটিও কমিশনিং করা হবে।


ইআরএল সূত্র জানায়, বড় জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল খালাসে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ (এসপিএম) প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসপিএম প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল।


সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাইপ লাইনে গভীর সাগর থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন তেলবাহী বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগবে মাত্র ২-৩ দিন। আগে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তেল খালাসে সময় লাগত ১০–১২ দিন। পাইপ লাইনে তেল খালাসের ফলে দেশে জ্বালানি তেল মজুতের সক্ষমতা বাড়বে ১০-১৫ দিন। কমবে তেল চুরি, সিস্টেম লসসহ নানা পরিবহন নৈরাজ্য।


ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে গভীর সাগর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন সাগরে নোঙর করা জাহাজ থেকে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে তেল নেওয়া হবে। পাইপলাইন কমিশনিং করার পর সেখানে থাকা হেজ, সার্কিট ভাল্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর স্টোরেজ থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত পাইপলাইন কমিশনিং করা হবে। প্রথমে ক্রড অয়েল, পরে ডিজেলে পাইপলাইন কমিশনিং করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী আগস্টে প্রধানমন্ত্রী এসপিএম প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।


সূত্র জানায়, বন্দরের অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলের নাব্যতা কম হওয়ায় এখন তেলবাহী বড় জাহাজগুলো সরাসরি খালাস করা সম্ভব হয় না। বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করে ছোট লাইটার জাহাজের মাধ্যমে তেল খালাস করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ খালাসে ১০-১২ দিন সময় লেগে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us