তানজিম হাসানের উড়িয়ে মারা শটটি সীমানা স্পর্শ করতেই ছুটে মাঠে প্রবেশ করেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। গত মৌসুমে আবাহনীকে হতাশায় ডুবিয়ে যারা শিরোপা জিতেছিল, গতকাল সেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক-আফিফরা। শেখ জামালের ৭ উইকেটে করা ২৮২ রান ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে টপকে যান তাঁরা। এটি আবাহনীর ২২তম লিগ শিরোপা। শিরোপা জয়ে অন্য কোনো দল আবাহনীর কাছাকাছি তো দূরের বিষয়, দুই অঙ্কেই যেতে পারেনি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে লিগের শেষ দিনে এসে অলিখিত ফাইনালে পরিণত হওয়া ম্যাচে আবাহনীর জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে তাঁরা দু’জন বলের পাল্লা দিয়ে ওপেনিং জুটিতে ১৪৫ রান তুলে নেন। পুরো আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করা নাঈম ৭৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৬৮ রান করে ক্যাচ দিয়ে আসেন। এবারের লিগে এটি তাঁর দশম হাফ সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি। ১৬ ম্যাচে ৯৩২ রান নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম। কম যাননি তাঁর ওপেনিং পার্টনার এনামুল হক বিজয়। গতকাল ৪টি করে চার ও ছয়ে ৮১ বলে ৭২ রান করেন তিনি। ৩টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬ ম্যাচে ৮৩৪ রান নিয়ে তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। পর পর দুই ওভারে দুই ইনফর্ম ওপেনারের বিদায়ের পর দ্রুত আউট হয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়ও। এতে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আকাশী-নীলরা। এরপর পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আফিফ হোসেন। ৫৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন তিনি।