শর্ত যৌক্তিক হলে মানতে বাধা কোথায়?

যুগান্তর ড. আর এম দেবনাথ প্রকাশিত: ০৬ মে ২০২৩, ১০:৩১

এ মুহূর্তে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় খবর কী? ডলারের অভাব, মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন হ্রাস, বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হ্রাস, রপ্তানির শ্লথ গতি, রেমিট্যান্সের প্রবাহে বড় ঘাটতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্যবৃদ্ধি, মাছের বাজারে আগুন-এসব কি বড় খবর নয়? এখন বৈশাখ মাস। সারা দেশের কৃষক ভাইরা মূল্যবান বোরো ধান ঘরে তুলছেন। ফলন হয়েছে আবারও বাম্পার। এটা কি বড় খবর নয়? নিশ্চয়ই এসব বড় খবর। কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না।


তবে এসব খবর ছাপিয়ে এখন একটি খবর সামনে আসছে, যা আমাদের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ সম্পর্কিত। স্বাধীনতা মানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উভয়ই। অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতা বড় জরুরি। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। যেমন ভর্তুকি। সারের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলতে হবে-এ দাবি ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল’ (আইএমএফ) বহুদিন থেকে করছে। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের দাবি মান্য করেনি এবং এর সুফল আমরা পাচ্ছি। চালে আমরা এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।


কিন্তু এ অবস্থা এখন আর নেই। কেন? কারণ আইএমএফ থেকে আমরা সাড়ে চার বিলিয়ন (এক বিলিয়ন সমান শত কোটি) ডলার ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছি। বলা যায় স্বস্তির জন্যই। বিদেশে সুনাম রক্ষার জন্য। এর ফল কী? সম্প্রতি সারের ওপর ভর্তুকির পরিমাণ দুবার কমানো হয়েছে এবং তা কৃষিমন্ত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও। তার আপত্তি কোনো কাজে আসেনি। কারণ আইএমএফ’র ঋণ, তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া শর্ত। বহু শর্ত। একেক করে সব পালন করতে হবে। একেকটা কিস্তির সময় হবে, আর আইএমএফ কর্তারা আসবেন। তারা দেখবেন শর্ত পালন হচ্ছে কিনা। এর ওপর কিস্তির টাকা পাওয়া নির্ভর করে। কোন শর্ত কে, কখন, কোন মাসে, কীভাবে পালন/বাস্তবায়িত করবে, তা একদম পাই পাই করে নির্ধারিত। নড়াচড়ার কোনো কায়দা নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us