পারিপার্শ্বিক আলামত দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির বার্তা দিচ্ছিল। উন্নয়ন, মাথাপিছু আয়, ক্রয়ক্ষমতা ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বেকারত্বের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। টানা বছর কয়েক ঘরে-বাইরে কমবেশি সবাই এ আপদ ও যন্ত্রণার ভুক্তভোগী। সংবাদ সম্মেলন ডেকে এর সংখ্যাগত আনুষ্ঠানিক হিসাব জানাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। তাদের হিসাব বলছে, বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। তাদের মধ্যে ১৭ লাখ ১০ হাজার পুরুষ আর নারী ৮ লাখ ৮০ হাজার। চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশে বেকার ছিলেন ২৫ লাখ ৯০ হাজার জন। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ওই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। তবে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছর বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার কম। বলার অপেক্ষা রাখে না, এটি সরকারি হিসাব।
শ্রমশক্তি জরিপে কাজ পাওয়া বা বেকারত্ব কাটানোর তথ্য আছে। সেখানে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ। ওই হিসাবে তা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৬৩ লাখ। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭। অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত আছে ৩ কোটি ১৯ লাখ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ, সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ। আর দেশের যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৭৩ লাখ। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহের জন্য সারাদেশের ১ হাজার ২৮৪টি নমুনা এলাকা এবং প্রতিটি নমুনা এলাকায় ২৪টি খানা দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কোয়ার্টারে ৩০ হাজার ৮১৬টি পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।