সার্বিকভাবে পণ্য ও সেবায় মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। তবে টানা দুই মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরেই আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর আগের মাস মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বুধবার এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি হিসাবের পদ্বতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত মাস থেকে ২০২১-২২ বছরকে ভিত্তি বছর ধরে মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়েছে। এতদিন ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরা হতো। ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) পণ্য এবং সেবার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ৭৪৯ ধরনের ৩৮৩ আইটেমের পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এতে। এর আগে ৪২২টি পণ্যের বাজারদর হিসাব করা হতো।
নতুন হিসাবের আওতায় এসেছে সন্তানের শিক্ষার খরচ, পরিবারের ইন্টারনেটের খরচ, হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবারের খরচ, সিগারেট, বেভারেজ, মাদকদ্রব্যসহ আরও বেশ কয়েকটি খাত। এখন থেকে নতুন পদ্বতিতেই ভোক্তা মূল্যসূচক হিসাব করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিএস। বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য ও সেবা বাবদ মানুষের খরচের হিসাবের ভিত্তিতে প্রতি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তৈরি করে থাকে পরিসংখ্যান ব্যুরো। কোনো নির্দিষ্ট মাসে এই মূল্যসূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কতটুকু বাড়ল তার শতকরা হারই পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি।