স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়ন সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এর মূল কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতি ও সীমিত সম্পদ। এই তিন সমস্যার সমাধান করতে পারলে বাজেট বাস্তবায়ন বাড়ানো অনেকাংশেই সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বুধবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাজেট রিপোর্টি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এমন মত দেন বলে সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ইআরএফ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্ট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন র্যাপিডের চেয়্যারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া স্বল্পোন্নত অন্য দেশগুলো তাদের জিডিপির ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ বাজেটের জন্য ব্যয় করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ জিডিপির ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেখান থেকে সংশোধিত বাজেট ১৩ থেকে ১৪ শতাংশে নেমে আসে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি এর বড় একটি কারণ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও রাজস্ব আদায়ে সক্ষমতার ঘাটতিও অন্যতম কারণ। যদি দুর্নীতি কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় আরও বাড়ানো যায়, তাহলে বাজেট বাস্তবায়নে উন্নতি হবে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে করের আওতা বাড়াতে হবে।