বগুড়ার শহরের সাতমাথায় অফিস সহকারীকে হত্যা করে জেলার প্রধান ডাকঘরের ভল্ট ভেঙে আট লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সদর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ডাকঘরের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম।
এর আগে রবিবার রাতে মুখোশধারী ডাকাতরা ডাকঘরের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে অফিস সহকারী প্রশান্ত কুমার আচার্যকে হত্যা করে। পরে ডাকঘরের ভল্ট ভেঙে আট লাখ টাকা নিয়ে যায়। নিহত প্রশান্ত কুমার আচার্য (৪৮) বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া উত্তরপাড়ার রামকৃষ্ণ আচার্যের ছেলে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘হত্যা ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’
ডাকঘর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, ঈদের ছুটিতে সব নৈশপ্রহরী বাড়িতে যাওয়ায় অফিস সহকারী প্রশান্ত রবিবার রাতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাতের কোনও একসময় মুখোশধারী ডাকাতরা পেছনের গ্রিল কেটে প্রধান ডাকঘরে ঢুকে। এ সময় মাথায় আঘাত করে প্রশান্তকে হত্যা করে তারা। এরপর ডাকঘরের ভল্ট ভেঙে টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতি ও অফিস সহকারীকে হত্যার ঘটনায় সোমবার সকাল ৯টার দিকে জানাজানি হয়। পরে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।