রোজার শেষ ১০ দিনে সবে কেনাবেচা জমছিল, মাঝ রাতের ক্রেতারাও আসছিলেন দলবেঁধে; এক সকালের আগুনে পাল্টে গেল চিত্র, নিউ মার্কেট এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার গমগমে হাঁকডাকের বদলে ভেসে আসছে ফায়ার ইঞ্জিনের ঘর ঘর শব্দ।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দীর্ঘচেষ্টা মধ্যরাত পেরিয়েও চলমান রয়েছে ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটে; যেটি আগুনে পুড়েছে সকালে। শনিবার পৌনে ছয়টার দিকে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি নেভেনি। বন্ধ দোকানের ভেতরে কাপড় থেকে বের হওয়া ধোঁয়া নেভাতে কাজ চলছে।
ঠিক রাত ১টায় আগুনে পোড়া নিউ সুপার মার্কেটের অদূরের বিপণি বিতানগুলোতে ঈদ বাজারের চিরচেনা চিত্রই দেখা গেল। নুরজাহান, গাউছিয়া, গ্লোব, নেহার ভবন বিপণি বিতান আংশিক খোলা, সেগুলোতে ক্রেতা সমাগম ভালোই। অথচ সকালের আগুনের পর দীর্ঘসময় ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে আচ্ছন্ন থাকা নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের কাছে কাঙ্খিত বছরের সবচেয়ে বেশি কেনাকাটার মৌসুম রোজার ঈদের আগে আগুন কেড়ে নিয়েছে তাদের পুঁজির অনেকটাই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তার ঘাটতি রেখে দিনের পর দিন ব্যবসা করে যাওয়া তাদের উদাসীনতার ফল নয় কি?
এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে ১১ দিনের মাথায় রাজধানী ঢাকার বড় কয়েকটি ব্যবসা কেন্দ্রের ভয়াবহ আগুনে।
নকশা বদলে কাঠামো ভেঙে বিপণি বিতানগুলোকে করে তোলা হয়েছে ঝুঁকিপুর্ণ, যেটি থেকে বাদ যায়নি নিউ সুপার মার্কেটেও। দিন দশেক আগেও পরির্দশনের পর নোটিস দিয়ে গেছে ফায়ার সার্ভিস। ঝুঁকি কমানোর দিকে তাদের সেই খেয়াল কই।