রোজার মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্তি বাড়ছিল নাজমুল আহমেদের; মতিঝিলে বাংলাদেশ ভবনের নিচ তলায় এই লাইনে তিনি ছিলেন নতুন নোটের জন্য।
বুধবার বিকাল পৌনে ৩টায়ও তিনি যখন লাইনে, তখনও তার সামনে জনা পঞ্চাশেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে। সাড়ে ১১টায় লাইনে দাঁড়িয়ে বলে জানান নাজমুল।
“কয়টায় নতুন টাকা পাব, জানি না। পুরো দিন পার হয়ে গেল টাকা নিতে এসে,” বিরক্তি ভরে বলেন তিনি।
নাজমুলের এই লাইনে টোকেন দেওয়া হয়, তার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নিতে হয়। আর তাতে দেরি হওয়ায় লাইন হয়ে যায় দীর্ঘ।
তবে টোকেন নেওয়ার পর যে কাউন্টার থেকে নতুন নোট নিতে হয়, সেখানে কোনো ভিড় নেই। টোকেনধারীরা গেলেই মিলছে টাকা। তবে সেই পর্যন্ত পৌঁছতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে সবার।
ব্যাংকের ভেতরে যখন বিড়ম্বনার এই চিত্র; বাইরে ফুটপাতে চিত্র একেবারে ভিন্ন। সেখানে থরে থরে নতুন নোট সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেখান থেকে বেশি টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে নতুন নোট।
ব্যাংকের ভেতরে ভিড় দেখে অনেকে সেখান থেকে নতুন নোট কিনে নিচ্ছিলেন, তাদেরই একজন তৌফিকুল আলম বললেন, “ভেতরে (বাংলাদেশ ব্যাংক) বেশি ভিড়, লাইনে দাঁড়ালে অনেক সময় যাবে। তাই বেশি দাম দিয়ে নিলাম।”
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ছেড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।
ঢাকার মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনের নিচ তলায় আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একজন সাড়ে ৮ হাজার টাকার বিভিন্ন মানের নতুন নোট বিনিময় করতে পারছেন।
এই রোজার ঈদে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত কয়েক বছর ৫ টাকার কাগুজে নোট বাজারে না ছাড়লেও এবার তাও পাওয়া যাচ্ছে।