সার্বিকভাবে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা বিরাজ করলেও চলতি মাসে স্থানীয় বা দেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। মার্চের ২৬ দিনে পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই হাজারের ওপরে। তবে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে। চলতি মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় একশ কমে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) বেঁধে দেওয়ার কারণে শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত নন। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারের দাম এক জায়গায় আটকে থাকছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। এতে বাজারের ওপর থেকে বিদেশিদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ছিল ৬৩ হাজার ১২৫টি। সেই সংখ্যা এখন (২৬ মার্চ) কমে ৬৩ হাজার ৪৪টিতে নেমেছে। অর্থাৎ মার্চ মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৮১টি।