নিরাপদ ও সহজ অভিবাসনের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করা আবশ্যক বলে মনে করছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা মনে করেন, শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং নৈতিক হতে হবে। বিনামূল্যে শ্রম অভিবাসন, তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতা, প্রাক-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন, কাজের চুক্তিপত্র যাচাইকরণ, শোষণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা, শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা, সহায়তা পরিষেবা নিশ্চিত করা, অভিযোগ পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি নিয়োগের মূলনীতি হতে পারে।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়নে নিরাপদ অভিবাসন- আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন, আইটিইউসি-বিসি’- এর আয়োজন করে।
আইটিইউসি-বিসি’র চেয়ারপার্সন অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাগুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের অভিবাসন কমিটির সদস্য সচিব মো. শহীদুল্লাহ বাদলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইটিইউসি-বিসি’র অভিবাসন কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তার ডিনা, সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইটিইউসি-বিসি’র মাইগ্রেন্ট রিক্রুটেমেন্ট অ্যাডভাইজর (এমআরএ) প্রকল্পের জাতীয় সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিল আখতার চৌধুরী।
মূল প্রবন্ধে সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে স্বল্প-দক্ষ বা অদক্ষ হিসেবে চাকরিতে নিযুক্ত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই নির্মাণকাজ, গার্হস্থ্য পরিষেবা, কৃষিকাজ, পরিবহন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করেন। এসব বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, জোরপূর্বক শ্রম, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হয়।
একইসঙ্গে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও অনিয়মিত মজুরি প্রদানের অভিযোগও পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অভিবাসন করেন। এক্ষেত্রে তারা মানবপাচার, অতিরিক্ত খরচসহ ঋণের বোঝা বৃদ্ধির মতো ঝুঁকিতে পড়েন এবং তারা জোরপূর্বক শ্রম প্রদানে বাধ্য হন। এ সময় তিনি এমআরএ সেবার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।