কাজ করার জন্য আমাদের শক্তির প্রয়োজন। ডিম খেলে সেই শক্তি পাওয়া যায় অনেকটাই। মূলত ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই এই শক্তি মেলে। দেহের প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও ডিমের তুলনা নেই।
এছাড়াও ডিমে রয়েছে শর্করা, স্নেহ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। পেশি ও হাড়ের জোর বাড়াতে সাহায্য করে ডিম। তবে কীভাবে ডিম খাচ্ছেন এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ারের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানান, তেলহীন অর্থাৎ সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। স্ন্যাকস টাইমে সেদ্ধ ডিমের উপর গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে যেমন পেট ভরবে, তেমনি শরীর পাবে পুষ্টি। বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ডিমের সঙ্গে শাকসবজি খেতে পারেন। এতে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে। ডিম ভাজি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ ডিমের সঙ্গে মাখন ও তেলের ব্যবহার করলে এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যোগ করতে পারে।
তবে নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েলে ডিম রান্না করে খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। অল্প তেলে ডিম পোচ করে খেতে পারেন সকালের নাস্তায়। বানিয়ে ফেলতে পারেন ডিমের মাফিন। এজন্য ডিম কেটে তার ওপর আপনার পছন্দের সবজিগুলো দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিন। সেদ্ধ ডিম টুকরো করে লেবু, অলিভ অয়েল, গোলমরিচ ও সবজি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সালাদ। মাংস কিংবা মাছ দিয়ে তৈরি আমিষ সালাদেও যোগ করতে পারেন ডিম।