ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ক্লান্তি খুব সাধারণ একটা বিষয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের পরও ক্লান্তি যেন কাটতেই চায় না। আর যাদের সারাদিনে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না,তাদেরও ক্লান্তির হাত থেকে রেহাই নেই। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটর, মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে। এর ফলে অনেক সময় ঘুমই ভাঙছে ক্লান্তির সঙ্গে। সেই ক্লান্তি সারাদিনই থাকে। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা নিমেষে ক্লান্তি দূর করতে পারে। যেমন-
১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ক্যালশিয়াম রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। দীর্ঘক্ষণ শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে ডিম। নানাভাবে ডিম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সিদ্ধ করে কিংবা অমলেট করেও খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২. কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম রয়েছে। মাত্র একটা কলা খেলেই প্রচুর পরিমাণে কর্মক্ষমতা বাড়ে। তার সঙ্গে বাড়ে এনার্জিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা করার আগে কলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৩. যেকোনও খাবারের থেকে দারুণ উপকারী একমুঠো বাদাম। তার মধ্যে দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে কাজুবাদাম। ক্লান্ত লাগলে বা শরীরে জোর না পেলে কয়েকটা কাজুবাদাম খেয়ে নিন।
৪. গরম পড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে শরীরে পানির চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সারাক্ষণ পানি খেতে হয়তো অনেকেরই ভালো লাগে না। আর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ক্লান্তি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্লান্তিও দূর হয় আবার শরীরে পানির চাহিদাও পূরণ হয়।
৫. পালং শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর পালং শাক খাবারের তালিকায় রাখলে শরীরে এনার্জি ভরপুর থাকে।
৬. খেজুর, ওটস ইত্যাদি খাবারও ক্লান্তি কাটাতে ভূমিকা রাখে।