আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি এবং নানা ভাষা জানা একজন মানুষকে উজ্জ্বল করে সন্দেহ নেই, পাণ্ডিত্যের জায়গা আরও প্রসারিত হয়। চোদ্দ শতকে সুলতানি বাংলায় নওগাঁর মাহিসন্তোষ মাদ্রাসায় সমরখন্দ থেকে একজন বহু ভাষাবিদ সুফি এসেছিলেন শিক্ষকতা করতে।
জ্ঞানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কাজি পদও পেয়েছিলেন। সুফি রুকনউদ্দিন আল সমরখন্দি এখানে এসে জানতে পারেন আসামের জঙ্গলে এক হিন্দু ব্রাহ্মণ আছেনÑ যার কাছে একটি অসাধারণ জ্ঞানগর্ভ হিন্দুশাস্ত্রীয় গ্রন্থ আছে। জ্ঞান অন্বেষী রুকনউদ্দিন আল সমরখন্দি ছুটে যান আসামের জঙ্গলে এবং খুঁজে বের করেন ব্রাহ্মণকে। গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় লেখা। বইটি পড়ার জন্য তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখলেন। অমৃতকুণ্ড নামের গ্রন্থটি পড়ে আলোড়িত হন। হোক হিন্দুদের শাস্ত্রীয় গ্রন্থ, তবু এই জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। সুলতানি বাংলার ধর্মীয় উদারতার পরিবেশ তাকে হয়তো সহায়তা করেছিল। তিনি অমৃতকুণ্ডকে ফারসি ও আরবি ভাষায় অনুবাদ করে তা নিজ দেশ সমরখন্দে পাঠিয়ে দেন। এর পাশাপাশি নিজ মাদ্রাসায় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।