নির্ধারিত কর্মঘণ্টা শেষে নিজ কর্মস্থলেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেন (ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস) সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আগামী মার্চ থেকে ২০টি জেলা হাসপাতাল এবং পাঁচটি মেডিকেল কলেজে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়া কী হবে— এসবের বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে চিকিৎসক সমাজে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসকরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত ‘আইওয়াশ’ মন্তব্য করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জেলা-উপজেলা সরকারি হাসপাতালগুলোতে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হয় না। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংকটে প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবার বেহাল অবস্থা। লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ওষুধের দাম।