দেশের ওষুধ শিল্পের অগ্রগতির কারণে তুলনামূলক কম খরচেই জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষ। তবে, ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে ক্রেডিট লেটার (এলসি) খুলতে সমস্যায় পড়ছেন ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৪৬৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৫৯৯ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার।
একইভাবে, ওষুধ উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এলসির পরিমাণ ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ৬৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের ওষুধ উৎপাদকরা ঠিক সময়ের মধ্যে ওষুধ রপ্তানি করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। কেননা, এই ব্যর্থতা বাংলাদেশের ওষুধ খাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ব্যাংকগুলো এলসি খুলতেও দেরি করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'দেশের ওষুধ উৎপাদকরা পর্যাপ্ত কাঁচামাল আনতে না পারলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।'
বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদন খাতের জন্য বছরে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। কারণ স্থানীয়ভাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি কাঁচামাল সংগ্রহ করা যায় না।