করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছরের শুরু থেকে দেশে চশমার বাজারে বেচাকেনা ভালোই বেড়েছিল। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ডলার–সংকট দেখা দিলে চশমার ব্যবসা আবারও মার খায়। তাতে চশমার পাওয়ার বা কার্যক্ষমতার মতো ব্যবসার কার্যক্ষমতাও কমে গেছে। চশমা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঋণপত্র খুলতে না পারা ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা কমে গেছে।
এ ছাড়া চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণেও চাহিদা কমেছে চশমার। সব মিলিয়ে তাই এই খাতের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত এক বছরে দেশে চশমার আমদানি খরচ ২০ শতাংশের মতো বেড়েছে। আর বাজারে চশমার দামও ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তার বিপরীতে চশমার বিক্রি কমেছে ১৫-২০ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার–সংকটের কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খোলা কমিয়ে দিয়েছে। কয়েক মাস ধরে ছোট অঙ্কের আমদানি ঋণপত্র খোলা গেলেও ব্যাংকগুলো দায় পরিশোধে বাড়তি সময় নেওয়ায় পণ্য আমদানিতে বিলম্ব হচ্ছে। গত বছরের জুন থেকে প্রতিটি আমদানি চালান দেশে আনতে গড়ে তিন-চার মাস বেশি সময় লাগছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানির পরিমাণও কমে গেছে।
বাংলাদেশ চশমাশিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ লেন্স সমিতির সভাপতি মো. ছানাউল্লাহ খান প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে কোনো রকমে ব্যবসায় টিকে আছি আমরা। বড় অঙ্কের কোনো ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। ফলে আমদানি অনেক কমে গেছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা এখন আগে আমদানি করা পণ্য বিক্রি করে কোনো রকমে ব্যবসা ধরে রেখেছেন।