যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মুক্তেশ্বরী নদী থেকে বালু তুলে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) নির্দেশে শ্রমিকেরা উপজেলার হাজরাইল এলাকা থেকে ওই বালু তুলছেন। এতে নদীর পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ধারা ৪ অনুযায়ী, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা–বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোনো সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনে বালু বা মাটি উত্তোলনের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে না। এজন্য কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হবে।
যশোরের ভবদহ অঞ্চলের পানি ওঠানামা করে মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ–নদী দিয়ে। চৌগাছা উপজেলার পাশে মজ্জাতের বাঁওড়ের বিপরীত দিকে ভৈরব নদ থেকে বেরিয়ে মুক্তেশ্বরী নদী যশোর সদর ও মনিরামপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর অভয়নগর উপজেলার গোঘাটা নামের স্থানে টেকা নাম ধারণ করেছে নদীটি। টেকা নদী উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় শ্রী নদীতে পতিত হয়েছে। শ্রী নদী কিছুদূর এগিয়ে মনিরামপুর উপজেলার কপালিয়ায় হরি নদের সঙ্গে মিশেছে।