চরম এক সংকটকাল অতিক্রম করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। প্রায় এক বছর ধরে চলছে শ্রীলংকার এ দৈন্যদশা। অর্থনৈতিক এ সংকটের প্রভাব পড়েছে শ্রীলংকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে, সরকারি চাকরি, প্রাইভেট সেক্টর, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সর্বত্র যেন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। শ্রীলংকার এ চরম দুরবস্থা মোকাবিলায় দেশটির সরকার বেশ হিমশিম খাচ্ছে। এখন থেকে প্রায় ছয় মাস আগে অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় সরকারেও।
বর্তমানে অনেকটাই শান্ত হয়ে উঠেছে দেশের পরিস্থিতি। তবে বেকারত্বের বোঝা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সে দেশের মানুষ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমনই যে, মুদ্রাস্ফীতি সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছানোর পরপর খাদ্যের মূল্যও রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। গত বছরের শুরুতে জ্বালানি তেলের সংকটে পড়ে দেশটি। দিনের পর দিন ফিলিং স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও জ্বালানি তেল পায়নি মানুষ। খাদ্য কেনার জন্য মানুষ ছুটেছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সংকট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। তীব্র বিক্ষোভের মুখে জুলাইয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। রাজাপাকসের পদত্যাগের পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আসেন রনিল বিক্রমাসিংহে।