পেটের মেদ কমাতে কিছু পানীয় পান থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
এরকম পানীয়’র মধ্যে আছে- বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়, অ্যালকোহল আর চিনি দেওয়া নানান ধরনের শরবত কিংবা স্মুদি।
তবে যারা পেট কমানোর যাত্রায় নেমেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম ও ডায়েটের পাশাপাশি কয়েকটি পানীয় পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ র্যাচেল ডাইকম্যানের ভাষ্য হচ্ছে, “মেদ কমানোর কোনো জাদুকরী পানীয় নেই।”
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “বিজ্ঞাপন দিয়ে পেটের মেদ কমানোর নানান ধরনের পানীয়র কথা বলা হয়। তবে সেগুলো কোনোটাই কার্যকর হয় না। কারণ কোনো কিছু খেয়ে চর্বির ক্ষয় সাধন করা যায় না।”
স্মুদি: বেশিরভাগ সময় মিষ্টি ধরনের কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বা খিদা লাগার মানে হল দেহে চিনির চাহিদা তৈরি হচ্ছে। যে কারণে কোমল পানীয়, কফিতে আলাদাভাবে নানান উপাদান মিশিয়ে গ্রহণ করতে বেশ লাগে। পাশাপাশি নানান ধরনের মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে হয়।
ক্যালরি-ফ্রি বেভারেজ: কোমল পানীয় যে চর্বির পরিমাণ বাড়ায় এই কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। তাই পেটে যাতে অতিরিক্ত মেদ না জমে সেজন্য এসব গ্রহণ বাদ দিতে হবে।
এভাবে পরামর্শ দিয়ে একই প্রতিবেদনে, ক্যালিফোর্নিয়ার ‘হার্বাললাইফ নিউট্রিশন’য়ের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ও পুষ্টিবিদ সুসান বাওয়ারম্যান বলেন, “ক্যালরি ফ্রি পানীয় মানে, স্রেফ সাধারণ পানি পানের কথা বলছি।”
গ্রিন টি: এই চা থেকে একই সঙ্গে মিলবে ক্যাফেইন ও ক্যাটেকিন্স।
ডাইকম্যান বলেন, “এই দুই উপাদান ‘ফ্যাট অক্সিডেশন’য়ের পরিমাণ বাড়াতে পারে। মানে চর্বি পোড়ানোর মাত্রা বাড়ে।”
কফি: ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পানে অনেকেরই রুচি কমে। ফলে কম খাওয়ার কারণে ক্যালরি গ্রহণ কম হয়, যা কিনা পেটের মাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।