কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা, অফিস এবং ঘর একসঙ্গে সামলানো— সব মিলিয়ে আলাদা করে নিজের খেয়াল রাখার সময় পান না অনেকেই। এ কারণে সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগাটাই স্বাভাবিক। একটু কাজ করার পরই দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। একটু বেলা গড়াতেই মনের ফুরফুরে ভাবটাও উধাও হয়ে যেতে শুরু করে। ক্লান্তি এসে ভর করে শরীরে। অফিসে এসেও ঘুম ঘুম ভাব তৈরি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এসবই শারীরিক দুর্বলতার লক্ষণ। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া না করা, অপর্যাপ্ত ঘুম— এমন কিছু কারণেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
এ কারণে শরীরের যত্ন নিতে প্রতিদিনের জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমন কিছু টিপসের কথা। যেমন-
১. আজকাল ব্যস্ত জীবনে ঘুমের ঘাটতি থেকেই যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারা ক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব ঘিরে থাকে। কাজেও ঠিক মতো গতি আসে না। অথচ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। সেজন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো জরুরি।
২. কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে থাকেন। আবার সেগুলি এড়িয়েও যান। শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি, সুস্থ থাকতে যত্ন নিন মনেরও। এজন্য নিয়মিত মেডিটেশন করুন।
৩. অনেকেই আছেন, যারা অন্তর্মুখী। সব কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। এই অন্তর্মুখী চাপ শরীর ও মন উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। তখন ক্লান্ত লাগে। তাই মনে কোনও কথা চেপে না রেখে নিজের কাছের কোনো মানুষের সঙ্গে শেয়ার করুন।
৪. ঘর- অফিসের ব্যস্ততায় ঘুরতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? মনে রাখবেন, জীবনে কাজ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে সুস্থ রাখা ততটাই গুরুত্ব বহন করে। ব্যস্ততা থাকবেই। তার মাঝেও নিজের জন্য সময় বের নিতে হবে। একঘেয়েমি কাটাতে কয়েকদিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যান। এতে শরীর ও মন ভাল থাকবে। কাজেও গতি ফিরবে।