কটি শীতের কাপড় হিসেবে পরা শুরু হলেও কয়েক বছরের মাঝে ইউনিসেক্স ফ্যাশন পরিধেয় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে পোশাকটি। ধারণা করা হয়, ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রথম মানুষ কটি শনাক্ত করে। তারপর থেকেই এটি প্রয়োজন ও স্টাইলের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এটি ক্যাজুয়াল, ফান আবার ফরমাল ও ড্রেসি, সবই হতে পারে। নির্ভর করে আপনি কীভাবে পরছেন তার উপর। যাই হোক না কেন, কটি কখনো বোরিং হয় না!
প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় স্টাইলের জন্যই, বেইজ পাঞ্জাবি কুর্তার সঙ্গে ওয়েস্ট কোট হিসেবে কটি পরলে মার্জিত দেখায় এবং জামা কিংবা জাম্পসুটের উপর পরলে ভালো লাগে। দেরিতে হলেও আমরা কটির সেরা ফর্ম দেখেছি ফিউশন হিসেবে। মোটা কাপড়ের কটি শেইপ সুন্দর রাখে, লম্বা কিংবা খাটো, কটি যেটাই হোক সাধারণ পোশাককে করে তোলে রঙিন।
কটির জন্য আজকাল বেশ কয়েকটি হিট ডিজাইন রয়েছে। ফ্রক-স্টাইলের কটি পরলে আপনাকে বেশ ছিমছাম একটা লুক দেবে। একটা স্বাচ্ছন্দ্যয় বিকল্প হিসেবে স্কিনি জিন্সের সঙ্গে খোলা কটি সঙ্গে রঙ মিলিয়ে ভেতরে টিশার্ট বা শার্ট পরা যায়। এই কটিগুলোকে মিরর বা আয়না দিয়ে অলঙ্কৃত করা যেতে পারে। সুঁই-সুতা দিয়ে হাতের কাজ করা যেতে পারে। ফান বা একটু ইন্টারেস্টিং সঙ্গে ফিউশনাল ভাইব দেওয়ার জন্য ব্লক প্রিন্ট দারুণ একটা পদ্ধতি।
কেউ স্পোর্টস ওয়্যার বা ক্যাজুয়াল পোশাকের উপর প্লেইন, একরঙা কভার-আপ হিসেবেও কটি পরতে পারেন। পোশাকটি তখন শ্রাগ হিসেবে মূলত ব্যবহার করা হয় যা যেকোনো জায়গার সঙ্গে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। বিশেষ করে হালকা শীতল মাসগুলোর জন্য এটা দারুণ। সাদা স্নিকার্সের সঙ্গে ম্যাচ করে পরলে আপনার স্টাইলকে নিয়ে যাবে অন্য লেভেলে।