কেউ থাকেন ভাঙা ঘরে। কেউ প্রত্যন্ত গ্রামে। কারও বাবা নেই। কারও বাবা শ্রমিক। অভাবের সংসারে দুবেলা খাবার ঠিকমতো জোটে না। এমন দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও অনন্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাঁরা। কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস অধ্যবসায়ের বলে তাঁরা এখন দেশ ও দশের গর্ব। বিদেশ থেকেও সুনাম কুড়িয়ে এনেছেন জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলের আট খেলোয়াড়।
তাঁদের সবার বাড়ি দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাঁরা। দীক্ষা নিয়েছেন দুই কোচের অধীনে। কোচ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বেরিয়ে এসেছে দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়। শুধু কি এই আটজন? এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীদের বিচরণও এখন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নানা শাখায়। হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডি, শুটিংয়ে অন্তত ৫০ জন কৃতী খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। তাঁদের কেউ জাতীয় কাবাডি দলের, কেউবা শুটিংয়ের কোচ, কেউ আনসার দলের, কেউবা পুলিশের হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক।