আগামী জুন পর্যন্ত দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। এখনো ১৬ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে। তাই ওই সময় পর্যন্ত খাদ্য নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তার পরও বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো কারণে যদি আমদানি পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, সেটা মোকাবেলার জন্য সচিবদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবদের বৈঠকের পর ২৪ দফা লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সচিবদের। গতকাল মঙ্গলবার সচিব কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বিদায়ি মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। কোনো কারণে সরবরাহব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) বন্ধ হয়ে গেলে, এক মাস, দুই মাসে সমাধান করার জন্য সচিবদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি হওয়া সচিবসভার ফলোআপ বৈঠক হয়েছে গতকাল। এ ছাড়া ব্যয় সংকোচনে বিভিন্ন খাতে সাশ্রয় কেমন হয়েছে, সভায় সচিবদের কাছ থেকে তা জানা হয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৪৮ শতাংশ খরচ কমেছে। আপ্যায়ন (এন্টারটেইনমেন্ট) খরচ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েই ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। আর জ্বালানি তেলেও প্রায় ৪০ শতাংশ কম খরচ হয়েছে। সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন সর্বোচ্চ সাশ্রয় কোন মন্ত্রণালয় করেছে। জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বেশি সাশ্রয় করেছে।