শুকনো ফল সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা খুবই পরস্পরবিরোধী। কেউ কেউ বলে, এটি একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর নাশতা। অন্যরা দাবি করে, এটি চিনির চেয়ে খুব ভালো নয়। যাই হোক, শুকনো ফল আপনার স্বাস্থ্যকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে চলুন জেনে নিই।
প্রথমেই জেনে নিই ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল কী?
শুকনো ফল এমন ফল, যা শুকিয়ে প্রায় সব পানির উপাদান অপসারণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ফল সংকুচিত হয়ে শক্তিসমৃদ্ধ শুকনো ফলে পরিণিত হয়। এই ফলগুলোর মধ্যে আছে কিশমিশ, খেজুর, ডুমুর, এপ্রিকট ইত্যাদি।
উপকারিতা
শুকনো ফল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই শুকনো ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর। এক টুকরা শুকনো ফলে তাজা ফলের মতোই পুষ্টি থাকে। তবে দেখতে ছোট মনে হয়, কারণ সব পানি ফল থেকে বের হয়ে যায়।
ওজন অনুসারে শুকনো ফলে তাজা ফলের চেয়ে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ৩.৫ গুণ বেশি থাকে। অতএব, এক পরিবেশনে পাবেন অনেক ভিটামিন এবং খনিজ। কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে, যেমন ফল শুকিয়ে গেলে ভিটামিন 'সি'-এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। শুকনো ফলের মধ্যে সাধারণত প্রচুর ফাইবার থাকে। যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস। বিশেষ করে পলিফেনল। পলিফেনল রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এ ছাড়া এতে থাকে প্রাকৃতিক চিনি।
অপকারিতা
তবে খুব বেশি শুকনা ফল খাবেন না। এর থেকে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও খেতে যাবেন না। কিছু শুকনো ফলকে আরো মিষ্টি এবং আকর্ষণীয় করতে চিনি বা সিরাপের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই চিনি স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চিনিযুক্ত শুকনো ফল এড়িয়ে যাওয়া ভালো।