কিছু ওষুধ খেতে হয় খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে। এ রকম ওষুধের মধ্যে প্রথমেই আসে বমিনিরোধক ওষুধ (প্রোমিথাজিন, হায়োসিন, জয়ট্রিপ, মেকলোজিন, ওনডানসেটরন), গ্যাস্ট্রিক মানে পেপটিক আলসার ডিজিজের জন্য ব্যবহৃত ওষুধ (ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, ডেক্সল্যানসোপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল)। আর আছে এইচ–টু ব্লকার (ফ্যামোটিডিন, সিমেটিডিন)। তবে প্যান্টোপ্রাজোল, রাবিপ্রাজোল গ্রুপের ওষুধগুলো খাবার খাওয়ার আগে বা পরে যেকোনো সময়েই খাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধও খাবার খাওয়ার আগে খেতে হয়। ইনসুলিনও নিতে হয় খাবার খাওয়ার আগে।
আবার কিছু ওষুধ খাবার খাওয়ার পরে খেলে ভালো। কারণ, এগুলো ভরা পেটে শরীরে ভালোভাবে কাজ করে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় কম। এ রকম ওষুধের মধ্যে প্রথমেই আসে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ (ন্যাপ্রোক্সেন, সুলিন্ডাক, কিটোরোলাক, আইবুপ্রোফেন)। এগুলো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুধু নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই খেতে হবে! আর জ্বর বা হালকা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামলও খাবার খাওয়ার পর খেতে বলা হয়, তবে খালি পেটেও খাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক (সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন, সেফুরক্সিম, সেফিক্সিম), অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট বা সিরাপ খাবার খাওয়ার পরে খেতে হয়।