সরকারের তরফে ঘোষণা না এলেও নিজেরাই বাড়তি দাম ঘোষণা করে বাজারে সয়াবিন তেল ও চিনি সরবরাহ শুরু করেছে পরিশোধনকারীরা। এরপরও নীরব ভূমিকায় আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ দুই খাতের ব্যবসায়ীদের নতুন দর ঘোষণার পর পরই নতুন দামের তেল ও চিনি হাজির হয়েছে বাজারে। অথচ সরবরাহ সংকটে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে এ দুই পণ্য মিলছিলই না।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, বাজারে তীর, ফ্রেশসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের দুই লিটার সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা হয়েছে ৩৮০ টাকা (এক লিটার ১৯০ টাকা)। একইভাবে ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনির এক কেজির প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা হয়েছে ১০৮ টাকা।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেল ও চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন পরিশোধনকারীরা। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসার আগেই গত বৃহস্পতিবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯০ টাকা এবং চিনির দাম কেজিতে ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা (প্যাকেট) করার ঘোষণা দেন তারা।
যদিও দুই সপ্তাহ ধরেই মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার বাজারে তেল ও চিনির সংকট দেখা দিয়েছিল। আর সেই ‘সুযোগে’ খুচরা দোকানগুলোতে আগের নির্ধারিত দরের চেয়ে বাড়তি দামে পণ্য দুটি বিক্রি হচ্ছিল।