কেবল বেগুন নয়, অন্যান্য ফসলেও ভারী ধাতুর বিপদ ধীরে ধীরে বাড়ছে, যার অন্যতম কারণ কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক।
মানুষের খাদ্যচক্রে এসব ভারী ধাতুর প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমাণ না হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে সেজন্য নির্দিষ্ট কোনো ফসল বা খাদ্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে খাদ্য উৎপাদনের উৎসে বিষ ছড়ানোর সুযোগ বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি পেয়েছেন। আর সেই খবরে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামালপুরের যেসব এলাকার বেগুন ক্ষেতে ওই গবেষণা করা হয়েছে, সেখানকার মাটিতে সিসা, নিকেল, ক্যাডমিয়াম, তামা ও দস্তা পাওয়া গেছে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি।
গবেষক দলটির ধারণা, ওই বাড়তি ভারী ধাতু বেগুনে জমা হয়েছে সার, কীটনাশক বা বালাইনাশকের মত উৎস থেকে।