রূপকথার সেই বালুঘড়ির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? দুটো কাচের ফানেলের নিচের অংশ যদি একসঙ্গে জোড়া লাগানো হয়, তাহলে দেখতে যেমন হবে, বালুঘড়ি দেখতেও ঠিক তেমনই। ওপরের অংশে বালু আর নিচের অংশে থাকত স্কেল। ওপরের অংশ থেকে বালু ফানেলের মাঝখানের সরু অংশে গিয়ে আটকে যেত। এরপর ধীরে ধীরে অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালু ফানেলের সরু নল দিয়ে নিচে পড়ত। বালু জমা হওয়ার পর স্কেলের যেটুকু অংশ পূর্ণ হতো, সেটাই নির্দিষ্ট সময়ের কথা জানান দিত। এরপর ধীরে ধীরে সময় মাপার জন্য যুগে যুগে নানা ধরনের ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে। তারপরে সেটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে আধুনিক নারী-পুরুষের হাতেও উঠে এসেছে। ঘড়িতে ফুটে উঠেছে শৌখিনতা ও আভিজাত্য।
যান্ত্রিক এই জীবনে স্মার্ট ওয়াচ এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে স্মার্টফোনের এ যুগে সময় দেখার জন্য হাতঘড়ি প্রয়োজন না হলেও ফ্যাশন উপকরণ হিসেবে হাতঘড়িকে উপেক্ষা করার জো নেই।
হাতঘড়ির রকমফের
বিভিন্ন ধরনের ঘড়ি পাওয়া যায়। বেশি ব্যবহৃত হয় ব্যাটারিচালিত কোয়ার্টজ মুভমেন্ট ঘড়ি ও মেকানিজম মুভমেন্ট ঘড়ি। প্রায় সব বয়সীরাই এই ঘড়ি ব্যবহার করেন। কোয়ার্টজ ঘড়ি অ্যানালগ ও ডিজিটাল দুই ধরনেরই পাওয়া যায়। মেকানিজম মুভমেন্ট ঘড়ি অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল দুই ধরনের পাওয়া যায়। বর্তমানে তরুণেরা স্মার্ট ঘড়ির দিকে ঝুঁকছেন। স্মার্ট ঘড়ি স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনসহ খেলাধুলা বা অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমের সঙ্গে মিল রেখে এই ঘড়ি সেট করে নেওয়া যায়। বিশেষ করে যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের জন্য বিশেষ উপযোগী এই ঘড়ি।
স্টাইলিশ তবে জুতসই
হাতঘড়ি কেনার ক্ষেত্রে এমন ঘড়ি বাছাই করতে হবে, যা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জুতসই। ট্রেন্ডি লুক যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা মোটা বেল্টের বড় ডায়ালের ঘড়ি বেছে নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়ারা আবার স্পোর্টস ঘরানার ঘড়ি লুফে নিচ্ছেন। তবে যে ঘড়িটি পরবেন, তা হাতের সঙ্গে মানানসই কি না, সেটা বুঝতে হবে। খুব স্লিম যাঁরা, তাঁরা একটু চিকন বেল্ট বা চেইনের ঘড়ি পরুন। অন্যদিকে পেশিবহুল মানুষেরা একটু ভারী ঘড়ি পরলে ভালো লাগবে। অফিশিয়াল পোশাকের সঙ্গে মার্জিত ও সাধারণ বেল্টের ঘড়িই মানিয়ে যায়। তবে সে ক্ষেত্রে ঘড়ির ব্র্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ। পোশাকের সঙ্গে ঘড়ির বেল্টের রং মিলে গেলে দেখতে ভালো লাগে। তবে সংগ্রহে দু-একটি ব্র্যান্ডেড ঘড়ি থাকলে মন্দ হয় না।