জিএম কাদের তখন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন, পাইলটদের মধ্যে কে কার নিকটাত্মীয়।
এই চিঠির একটা নেপথ্য কাহিনী আছে। বিমানে আত্মীয় ছাড়া কারও চাকরি হয় না। এটাই যেন রীতি। যারা কর্মরত শুধু তাদের নিকটাত্মীয়রাই চাকরি পান। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা এসব আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে পাইলটদের কে কার আত্মীয় সেই বিষয়ে অবহিত করেছিল।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্যই জিএম কাদের এমডির কাছে চিঠি লিখেছিলেন। আত্মীয়তার বহর দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। পাইলটদের প্রায় সবাই একে অন্যের নিকটাত্মীয় হওয়ায় তিনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে পা বাড়ানোর ‘সাহস’ পাননি।
এ ঘটনা বর্ণনা করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যমসারির এক কর্মকর্তা বলেন, এতেই বোঝা যায় বিমানের নিয়োগ-প্রক্রিয়া আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি। সংস্থাটিতে বছরব্যাপী নিয়োগ লেগেই থাকে। আর এ প্রক্রিয়ার আড়ালে চলে অবাধে ‘ঘুষ লেনদেন’।