৪১তম বিসিএসের ১৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের পার্থক্য গড়ে ২০ করে। এসব খাতা মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ কারণেই এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ক্যাডার সার্ভিসের পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কিছু জটিলতা হওয়ায় ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করি শিগগিরই ফল প্রকাশ করতে পারব।’
প্রথম পরীক্ষকের বাধা পেরিয়ে এবার তৃতীয় পরীক্ষকের ফেরে পড়েছে ৪১তম বিসিএস। এর আগে লিখিত পরীক্ষার খাতা আটকে ছিল ৩১৮ পরীক্ষকের কাছে। তারা খাতা মূল্যায়ন করে সময়মতো জমা না দেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। পরীক্ষকদের ডেকে পিএসসিতে এনে সেই সমস্যার সমাধান করার পর দেখা দেয় নতুন বিপত্তি। দুই পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের পার্থক্য গড়ে ২০ করে। তাতেও সমস্যা হতো না। কিন্তু যখন দেখা গেল খাতার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার তখন তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত মঙ্গলবার
তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানোর কাজ শেষ হয়। এবার তাদের কাছ থেকে খাতা ফেরত আনার পালা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খাতা মূল্যায়ন শেষ হবে। ফলাফল হতে পারে তার পরের সপ্তাহে। ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ হাজার ৫৬ জন। আবশ্যিক বিষয়ে তাদের খাতার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৩৬টি। ঐচ্ছিক বিষয়েরও খাতা রয়েছে। মোট খাতার সংখ্যা কত তা পিএসসি প্রকাশ করে না। এ অবস্থায় শুধু আবশ্যিক আমলে নিয়ে হিসাব করলে প্রতি আটটি খাতায় একটি খাতা অবমূল্যায়িত হয়েছে।