ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ-উপমহাদেশের এ তিনটি দেশই তারুণ্যনির্ভর। তারুণ্যনির্ভর দেশ হিসাবে পৃথিবীতে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত। সেদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪২ কোটি। এর মধ্যে তরুণ জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ কোটি।
তার মানে, সেদেশে তরুণ জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৩ কোটি আর তরুণ জনশক্তি ৬ কোটি। তার মানে, সেদেশে তরুণ শক্তি মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশের একটু বেশি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই হলো তরুণ। দেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এর মধ্যে তরুণ জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। যে কোনো দেশের মূল চালিকাশক্তি হলো এ যুবশক্তি।
কিন্তু দেশে তরুণদের বড় একটা অংশ হতাশাগ্রস্ত। বেকারত্বের কশাঘাতে জর্জরিত এ যুবসমাজ অনিশ্চিত এক গন্তব্যের পথে ধাবমান। অনেক যুবক হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সার্বিক দিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, তরুণরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। উচ্ছল তারুণ্যের কেন এই পশ্চাৎপদতা? সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, কর্মচঞ্চল ও উচ্ছল তারুণ্যে বিষাদের ছায়া এঁকে দিয়েছে দেশের অপরাজনীতি। অতীতের রাজনীতি আর বর্তমানের রাজনীতিতে অনেক ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। আগে জাতীয় রাজনীতি ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও উপাদান।