ঢাকার ছেলে নবগোপাল দাস আইসিএস

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৫

জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১০ ঢাকাতেই। পড়াশোনা স্কুল পর্ব ঢাকায়, কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় এবং লন্ডন বিশ^বিদ্যালয়ে। সেখানে অর্থনীতির অনার্সে ১৯৩০ সালে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হলেন এবং পিএইচডি শুরু করলেন। ওদিকে বিলেতবাসী তার বন্ধুরা আইসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে লেগেছেন। তারা পরীক্ষায় বসতে নবগোপাল দাসকেও প্ররোচিত করেছেন। বাকিটুকু নবগোপাল দাসের লেখা ‘মাই লাইফ ইন দ্য আইসিএস’ থেকে অনুসৃত হলো :


আইসিএসে আমার জীবন


‘দুর্ঘটনাক্রমে’ আমি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিই। ১৯৩০-এর অক্টোবরে আমি জামসেদজি টাটা বৃত্তি নিয়ে বিলেতে রওনা হই এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সস-এ প্রোব্লেমস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গবেষণা কর্মে যোগ দিই। বিলেতে আমার কিছু বন্ধু উন্মুক্ত আইসিএস পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে। তারা আমাকেও প্ররোচনা দিল। তাদের কারণে ১৯৩১-এর জুলাই পরীক্ষায় বসলাম এবং ফলাফলে আমি নিজেই বিস্মিত হলামপরীক্ষায় শুধু সফল হয়েছি তা-ই নয়, ভারতীয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছি। ভয়ংকর ঝড় ঘনিয়ে এলো যখন লন্ডন স্কুলের কর্তৃপক্ষের কানে গেল যে আমি আইসিএস দিয়েছি এবং টিকেই গেছি। প্রফেসর লায়োনেল (পরে লর্ড) রবিনস স্পষ্টই বিরক্ত হয়েছেন এবং রেগে গিয়ে অনেকটা স্থূলভাবে আমাকে নির্দেশ দিলেন কোন কাজটা করবে ঠিক করোআইসিএস না ডক্টরাল রিসার্চ। (প্রফেসর রবিনস ১৯৯৮-১৯৮৪ নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল ঘরানার অর্থনীতিবিদ এবং খ্যাতিমান প্রফেসর)। তাকে সম্মত করাতে আমাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হলো যে চাকরি আর পড়াশোনার মধ্যে বড় কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমি পাঁচ বছরের মধ্যে ফিরে এসে আমার ডক্টরাল থিসিস দাখিল করব কারণ আমি রিসার্চ সম্পন্ন করতে খুবই আগ্রহী কিন্তু সরকার বিলেতে আমার অবস্থানকাল বাড়াতে এখনই সম্মত হবে না। ফলে আমি আবার এসে নিয়মিত ছাত্র হয়ে কাজটা শেষ করব। আমি আমার কথা রেখেছি, পাঁচ বছর পেরোনোর আগেই আমি যুক্তরাজ্যে এসে স্কুলে যোগ দিই। থিসিস সম্পন্ন করে লন্ডন বিশ^বিদ্যালয়ের কাক্সিক্ষত অর্থনীতির পিএইচডি লাভ করি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us